শাহেদ মিজান, সিবিএন:
বঙ্গোসাগরের উখিয়া ইনানী উপকূল থেকে রোহিঙ্গাবাহী ট্রলার ডুবিতে নিহত  ১৪ শিশু ও নারীর  মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে ৫টার দিকে এসব মৃতদেহ ইনানীর পাথুয়ারটেক পয়েন্টে ভেসে আসে। সাগর পথ পাড়ি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে এই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহেতদের মধ্যে নয় জন শিশু ও পাঁচজন নারী।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কাই কিসলো জানান, সাগরে তিনটি ট্রলার ডুবে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৪ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৯জন শিশু, ৫জন মহিলা। আর ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গা জাফর জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে মিয়ানমার বুচিদং থেকে তারা রওনা করেন। দুই দিন ধরে তারা সাগরে ভাসে। এই সময়ের মধ্যে তারা কোন কিছু খেতে পারেননি।
তিনি আরো জানান, টেকনাফের জাহাজপুরা এলাকার দালাল ও বোটের মালিক হানিফের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে ঢুকেছে। হানিফ  মিয়ানমার গিয়ে তাদের  নিয়ে আসে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমার বাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সাগর পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটছে। রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাডুবিতে এ পর্যন্ত অন্তত দেড় শতাধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের মৃত্যু হয়েছে।